ব্যস্ততা
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৫১:৪৫ দুপুর
মিতা রান্না ঘরে। এই রুম থেকেই টুং টাং শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে মৃদু শব্দ। এগুলো একা একা কথা বলার শব্দ। নিজের মনে গজ গজ করার। বড় মেয়ে বসার ঘরে পড়ছে। ছোটজন টিভির সামনে।
আজ শুক্রবার। বেলাল বাসায়। বন্ধের দিনেও নিজের ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে। কি সব লিখে সে। সেগুলো আবার মিতাকে পড়েও শুনায়। মিতা মুখে হাসি নিয়ে সমঝদার শ্রোতার অভিনয় করে। মনে তার রাজ্যের পেন্ডিং ঘরকন্নার কাজ উঁকি মেরে চলে। কিন্তু বেলাল কিছু বোঝে না।
বড় মেয়ে হাতে ম্যাথের খাতা নিয়ে এসে বলে, ' আম্মু, এইটা একটু বুঝিয়ে দাও না।' সব্জি কাটতে কাটতে মিতা মুখ না তুলে বলে, ' তোমার বাবার কাছে যাও।' ভ্রু দুটো বড় মেয়ের কুঁচকে উঠে। মিতা না দেখেও ওর কথায় সেটা বুঝতে পারে, ' সে কি করছে তুমি জানো না বুঝি?' এবারে মেয়ের দিকে তাকায়। বলে, ' ভাইয়ার কাছে যাও।' মেয়ে এবার একটু রেগে যায়, 'সে বাসায় নেই। এই সময় কখনো সে বাসায় থাকে?'
মিতাকেই সব্জি রেখে উঠতে হয়।
টিভির সামনে ছোট মেয়ে কার্টুন চ্যানেল দেখে হাসতে থাকে। ওর পাশে ওর বাবা ল্যাপটপে ব্যস্ত। মেয়ে কিছু একটা বাবাকে বলে। শুনে বাবাও হাসে। কিন্তু দৃষ্টি লেখায় নিবদ্ধ। আসলেই কি সে কিছু শোনে?
# অণুগল্প
বিষয়: সাহিত্য
৯৪০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
না, তিনি একজন লেখক। এ লাইঙ্গুলোতে বর্ণনা রয়েছে "বন্ধের দিনেও নিজের ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে। কি সব লিখে সে। সেগুলো আবার মিতাকে পড়েও শুনায়। মিতা মুখে হাসি নিয়ে সমঝদার শ্রোতার অভিনয় করে "।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
না, সে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। সবার মাঝে থেকেও নিজেকে নিয়ে পড়ে থাকে অণুক্ষণ।
লেখনীতে লেখকের অনেক কিছুই ফুটে উঠে,ব্যক্তি-সংসার-সামাজিকতা-মানসিকতা আরো কত কী.....!
বেলাল নামীয়......লেখকেরও নিজের ব্যস্ততা রেখে মিতাদের আরেকটু সময় দেয়া উচিত!!
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা......।
আপনার সাথে সহমত।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও।
নাহ! অন্তত এই লিখাটি ব্রেইনে আসার পরে তো নয়ই। তবে আগে প্রায় এরকম ছিলাম। এখন সময় কাটে দুই মেয়ের আর বউকে নিয়ে সাথে জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির সবুজাভ ক্যাম্পাস- নারী এবং প্রকৃতির নান্দনিক মিলনমেলায় বন্ধের দিনগুলো বেশ কেটে যায়!
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
যেন আমার অতীতের একটা দিনের ছবি দেখলাম!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ধন্যবাদ।
আপনার মনে একটু হলেও দোলা দিতে পেরেছে, এতেই অনেক আনন্দ পেলাম।
শুভেচ্ছা রইলো অনেক অনেক।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সহমত আপনার সাথে।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন